আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ ও এর সমাধান
আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার অধিকারী ফেসবুক ব্যবহার করছেন প্রতিদিন। শত শত বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। একদিন ফেসবুকে না ঢুকলে ভালো লাগে না। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো ফেসবুক যেকোনো সময় বিনা নোটিশে আপনার এই শখের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারে। আর তাই আমাদের সবারই সতর্ক থাকা উচিত এবং জানা থাকা উচিত, যেসব কারণে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে। যেসব কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারেঃ পর্নোগ্রাফি এটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যান্ড হওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা অন্য কোথাও আপনি যদি এ ধরনের কোনো ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করেন তাহলে ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান্ড করে দিতে পারে কোনো এবিউজ রিপোর্ট অথবা নোটিশ ছাড়াই। ভাষার অপব্যবহার স্ট্যাটাস আপডেট অথবা ম্যাসেজ আদান-প্রদানের সময় আপনার ভাষার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বাজে ভাষা ব্যবহার করলে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা কেউ আপনার নামে রিপোর্ট করতে পারে এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভুয়া প্রোফাইল http://umuseke.com/wp-content আপনি যদি আপনার নিজের নামের বদলে কোনো সেলিব্রেটি অথবা অন্য কারও নাম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে খুব তাড়াতাড়ি। তবে এ জন্য কাউকে অভিযোগ পাঠাতে হয়। ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন কাউকে হুমকি দেয়ার জন্য কখনোই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন না। এমনকি মজা করার জন্য হলেও না। ফেসবুক এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং খুব দ্রুত অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়। স্প্যামিং করা শুধু ফেসবুক না, পুরো ইন্টারনেট জগত এটিকে ঘৃণা করে। আপনার পণ্য বা ওয়েব সাইট প্রোমোট করার জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এটি করা যেতে পারে যেটি স্প্যামিংয়ের পর্যায়ে পড়ে না। অতিরিক্ত বন্ধু রিকোয়েস্ট প্রতিদিন ২০টির বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। যত কম হয় ততই ভালো। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার এটি আরেকটি অন্যতম কারণ। অনেক গ্রুপে জয়েন করা খুব বেশি গ্রুুপে জয়েন না করাই ভালো। ফেসবুক এটি ভালো চোখে দেখে না। আর গ্রুপগুলো থেকে ম্যাসেজ এসে আপনার ইনবক্স ভর্তি হয়ে যেতে পারে প্রতিদিন। অতিরিক্ত মেসেজ আপনি যদি আপনার বন্ধুদের ওয়াল অথবা ইনবক্সে প্রতিদিন অনেক বেশি সংবাদ বা মেসেজ পোস্ট করেন, তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর একই মেসেজ বার বার দিতে চাইলে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন করে দিন। না হলে ফেসবুকে এটি স্প্যাম হিসেবে ধরা হবে হয়তো। মূলত ফেসবুক ব্যবহারের সময় এ বিষয়গুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার তেমন কোনো আশঙ্কা থাকবে না। আর ফেসবুক ব্যবহারও হয়ে উঠবে মজার ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। ফেসবুক পাসওয়ার্ড চুরির কারণ ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে গেলে কী হবে তা নিশ্চয়ই বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। আসুন জেনে নিই কীভাবে আপনি নিজের অজান্তেই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে পারেন অন্যের হাতে। ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন, কজ এবং বিজ্ঞাপন একথা বার বারই বলা হয় যে, ফেসবুকের অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশনের অধিকাংশই নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগে ফার্মভিলের মতো সর্বাধিক জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ্লিকেশন এবং গেমও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে স্বীকার করেছে যে, তারা বিজ্ঞাপনের স্বার্থে তাদের ব্যবহারকারীদের কিছু তথ্য দিয়েছে। এছাড়াও অসংখ্যা অ্যাপ্লিকেশনের ভাণ্ডারে হঠাত্ই হয়তো এমন কোনো অ্যাপ্লিকেশন থেকে আপনাকে রিকোয়েস্ট বা ইনভাইট পাঠানো হলো যেটা এমন পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি। আসল কথা হলো, এসব অজানা-অচেনা কজ, অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো। অন্যথায় এসবের মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যাদি হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়াসহ আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণই চলে যেতে পারে। ফেসবুক ই-মেইল ফিশিং ই-মেইলের মাধ্যমেও আবার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চুরির শিকার হতে পারেন একটু অসতর্ক হলেই। অনেক চালাক হ্যাকার ঠিক ফেসবুক নোটিফিকেশনের মতো করে ই-মেইল তৈরি করে এবং তা ফেসবুকের মতোই কাছাকাছি কোনো ডোমেইন থেকে ই-মেইল আকারে পাঠায়। এসব ই-মেইলে থাকা লিংকগুলো ক্লিক করলে যে সাইটটি ওপেন হবে সেটাও অবিকল ফেসবুকের মতোই হবে। কিন্তু মূলত এটি ফিশিং সাইট। এর ফলে আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড নিশ্চিন্তে হ্যাকার মশাইরা পেয়ে যাচ্ছে। এসব আক্রমণ থেকে বাঁচতে সব সময় ই-মেইলের লিংকে ক্লিক করার আগে দেখে নেয়া উচিত তা ভধপবনড়ড়শ.পড়স ঠিকানাতেই যাচ্ছে কিনা। কারণ, যত যা-ই হোক ফেসবুকের ঠিকানা ঠিক থাকলে লগইন করতে আর কোনো ঝামেলা নেই। ফেসবুক শেয়ার বাটন থার্ড পার্টি সাইটের বিভিন্ন কনট্যান্ট যেমন পোস্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য শেয়ার বাটন যুক্ত করা থাকে। মূলত ব্যবহারকারীর সুবিধার্থেই এই ফেসবুক শেয়ার বাটনগুলো যুক্ত করা হয়। কিন্তু এই শেয়ার বাটনও কিন্তু আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চুরির কারণ হতে পারে। অনেক হ্যাকার তাদের সাইটে শেয়ার বাটন নিজেরা যোগ করে এবং সেখানে ক্লিক করলে যেই সাইট ওপেন হয়, সেটা ফেসবুকের মতো দেখতে হলেও তা আসলে ফিশিং সাইট। আপনি ফেসবুক মনে করে লগইন করার চেষ্টা করতে গেলেই আপনার পাসওয়ার্ড চলে যাবে তাদের হাতে। এক্ষেত্রেও আপনি যদি সতর্ক থাকেন তাহলে ফিশিং সাইট এড়াতে পারবেন। কেবল খেয়াল রাখবেন যেই লিংকে ক্লিক করছেন, তা ভধপবনড়ড়শ.পড়স কিনা। পাবলিক কম্পিউটারে লগইন সাইবার ক্যাফে বা এ জাতীয় পাবলিক কম্পিউটারে লগইন করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। সাইবার ক্যাফে থেকে লগইন করার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে কী-লগার। অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো কম্পিউটারে থাকলে আপনি ব্রাউজিং করার সময় ব্যবহৃত সব পাসওয়ার্ড সেইভ করে ফেলে। তবে ফায়ারফক্স বা ক্রোম ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি থাকে না বলেই জানা গেছে। তবে আরেকটি সাধারণ ভুল অনেকেই করেন তা হলো remember me / keep সব ষড়মমবফ রহ বক্সে টিক দিয়ে লগইন করেন। অথবা পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করার অনুমতি চাইলে অনেকে না বুঝেই বা তাড়াহুড়োয় সেভ করে ফেলেন। এতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট Reading Continue